এফএননিউজ ডেস্ক ঃশনিবার (৩১ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত চট্টগ্রামে করোনা রোগী ও মরদেহ পরিবহনের জন্য গাউসিয়া কমিটির কাছে এম্বুলেন্স হস্তান্তর এবং করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বিএনপি যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে তখন মানুষের মুখে হাসি পায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য রিয়াজুল কবির কাউছার ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। পরে সর্বসাধারণের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের শাসনামলে তারা কোনো স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ নেতা-এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পেরেছিল? অন্যদিকে শেখ হাসিনার সে সৎসাহস আছে এবং তা করে দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, অনিয়মকারি ও অপকর্মকারি যত বড়ই হন, শেখ হাসিনা সরকার কাউকে ছাড় দেয়নি।
দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যা ইতোমধ্যেই তিনি প্রমাণ করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপির সময়ে দুর্নীতি আর অপকর্ম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপির ছিল দুর্নীতি তোষণ নীতি আর দলীয়ভাবেই করা হতো দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা। তাদের শাসনামল আর দুর্নীতি সমার্থক হয়ে গিয়েছিল।
মেগা-প্রকল্প বাস্তবায়নে যাদের কোনো সাহস ও সক্ষমতা ছিল না তাদের মেগা-প্রকল্প দেখে ঈর্ষায় কাতর হওয়াই স্বাভাবিক মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বড় প্রকল্প নিতে সাহস লাগে, লাগে সক্ষমতা এবং প্রয়োজন হয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ও ভিশণ।
বিএনপির ভিশন ছিল ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র হাওয়া ভবন তৈরি করে চাঁদাবাজি আর লুটপাট করা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের সংবিধান থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়ে প্রমাণ করেছে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের সংগঠন হচ্ছে বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন অপপ্রচার পার্টিতে রূপ নিয়েছে, তারা অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর অক্ষমতা ঢাকতে মিথ্যাচার আর সরকারের বিরুদ্ধে অব্যাহত বিষোদগারকেই হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটিকে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসুন সবাই মিলে একজন মানবিক ও দুরদর্শি নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মহামারি থেকে দেশবাসীর সুরক্ষায় দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।
শোকাবহ আগস্টে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের বলেন, এই মহা-দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায় ও ভাসমান মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুও এখন সমস্যা হয়ে পড়েছে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।