এফএননিউজ ডেস্ক: চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংস ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় না দিয়ে কোনো নির্বাচনী অপরাধ সংগঠিত হলেই দায়ীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে।
ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমানের জারি করা ওই নির্দেশনা বলা হয়েছে, নির্বাচনের পূর্বদিন অথবা নির্বাচনের দিন কোনো অপরাধের জন্য কাউকে আটক করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে মামলা দিতে হবে। একইসঙ্গে তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে হবে। ইসির সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। এরপর তা সব মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়।
ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাও প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনী অপরাধ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এছাড়া ইসির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রার্থিতা বাতিল করার।এদিকে মাঠ মাঠ প্রশাসনও ভোটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সুবিধার্থে ইসিকে কঠোর হওয়ার সুপারিশ করেছে। রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনাও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের কারণে প্রার্থিতা বাতিলের উদ্যোগ নিতেও বলেছে।
ইতোমধ্যে ৩৬৯ ইউপিতে ভোটগ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১১ নভেম্বর ৮৪৬টি ইউপিতে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ভোট হবে ১ হাজার ৩টি ইউপিতে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংখ্যা দলগুলোর প্রার্থীর সংখ্যার চেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে সরকার দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় অনেকেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ১১ নভেম্বর ও ভোটগ্রহণ ২৮ হবে নভেম্বর।
গত ২০ জুন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ২০৪টি ইউপির মধ্যে ২৮ জন এবং ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১৬০ ইউপির মধ্যে ৪৫ জন চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাৎ প্রথম ধাপে ৭৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।