এফএননিউজ ডেস্ক ঃপঁচাত্তরের পনের আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পটভূমি যারা রচনা করেছিল, নতুন প্রজন্মের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন না হলে ইতিহাস অসম্পন্ন থেকে যাবে রোববার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে পাদদেশে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিবসে বঙ্গবন্ধু স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি জাতিসত্তার জাগরণ এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে গেছেন, সেই দীপশিখা অনন্তকাল ধরে জ্বলবে।’ এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি সংগীতশিল্পী রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন আগতরা।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, নাট্য অভিনেত্রী তারিন জাহান, সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচারই নয়, জিয়াউর রহমানসহ যারা সেই হত্যাকান্ডের পটভূমি রচনা করেছিল, যারা ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া। সেটি না হলে আমাদের ইতিহাস অসম্পন্ন হয়ে থাকবে, শত বছর পর নতুন প্রজন্ম সত্য জানতে পারবে না। সেকারণে একটি কমিশন গঠন করে পুরো ঘটনা প্রবাহ জাতির সামনে উন্মোচন করা আজকে আগস্টের প্রথম দিনে আমাদের প্রত্যাশা।’ তিনি বলেন, ‘জাতির আরো একটি প্রত্যাশা হচ্ছে, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল, যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল, বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া।’