সংবাদদাতা, ঘিওর, মানিকগঞ্জ॥ মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ঘিওর হাট- বাজারটি দেড়শো বছরেও উন্নয়নের মুখ দেখেনি। ৫ মিনিটের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারন করে। বাজারের প্রধান- প্রধান সড়কগুলো খানাখন্ডে ও যত্রতত্র ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধে বাজারে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে পরেছে। প্রধান- প্রধান সড়কগুলোতে আন্ডার গ্রাউন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নেই। নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত হাট থেকে লাখ- লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়। অথচ দেড়শো বছরেও উন্নয়ন বঞ্চিত এখানকার সাধারন ব্যবসায়ীসহ এলাকার হাজার- হাজার জনগন। ঘিওর পুরাতন গরু হাট, বেপারী পাড়া সড়ক, ভুষিপট্রি, মোহাম্মদ আলী সড়ক, ঘিওর বাসষ্ট্যান্ড, কাচাঁবাজার, মাছ বাজার, কফিলউদ্দিন দরজী সড়কসহ ৮টি স্পটে ৫মিনিটের বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়।পুরাতন গরুহাটায় মমিন বেপারীর দোকানের সামনে এবং বাস টার্মিনালে এবং বেপারী পাড়া সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারন করে। সমস্ত বাজারের আনাচে কানাচে ময়লা আর্বজনার পচা দুর্গন্ধে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি হাট বাজার থেকে নিয়োমিত ট্যাক্স, পাহারার চাঁদা, সুইপার ট্যাক্স আদায় করা হলেও ময়লা আর্বজনা ফেলার কোন ডাস্টবিন ও গণ শৌচাগার নেই। নেই নূর্নতম নাগরিক সুবিধা। রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছাকাছি উপজেলা হলেও উন্নয়ন নেই। কয়েকটি নলকুপ থাকলেও পানি পান করা নিরাপদ নয়। অধিকাংশ রাস্তাগুলো ইটের সোলিং করা।বিভিন্ন স্থানের ইট উঠে খানাখন্ডে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পরেছে। বাজারে অধিকাংশ বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বাতি নেই। ফলে বাজারের ব্যবসায়ীসহ হাজার- হাজার লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।১৯৮৮-৮৯ সালের প্রথম দিকে মোহাম্মদ আলী সড়ক থেকে ভ’ষিপট্রি পর্যন্ত কিছু ড্রেন নির্মান করা হয়। অল্প দিনেই ড্রেনগুলো ভরাট হবার পরে সংস্কার না করার দরুন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরে। সরেজমিন ঘিওর বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বাজারে সমস্ত অলিগলিতে ময়লা আর্বজনায় ভরাট হয়ে গেছে। পুরাতন গরুহাট বাঁশপট্রি, মাছবাজার ও কসাইখানাটি নোংরা আর্বজনার গন্ধে ব্যবসায়ীরা ঠিকমত দোকানদারি করতে পারেনা। মশা, মাছির উৎপাতে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পরেছে। কুস্তা গরু হাট সংলগ্ন ইছামতী শাখা নদীর পাশে প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে গরু,মহিশ, ছাগল জবাইয়ের জন্য দুটি শেড নির্মান করা হয়। ধলেশ^রী নদীর ভাঙ্গনে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয় । এবং শুষ্ট তদারকি ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে শেডদুটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। এখানকার শেডের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে, পুরাতন গর ুহাটার বাঁশপট্রিতে কসাইখানা ও মাছবাজার বসার জন্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২টি টিনশেড ঘড় নির্মান করা হয়। এগুলো ব্যবহার না করায় এলাকার একশ্রেনীর ব্যবসায়ীরা দখল করে রেখেছে। মধ্য বাজার থেকে মাছবাজার ও কসাইখানাটি দীর্ঘদিনেও সরানো হয়নি। যত্রতত্র গরু, ছাগল, খাসি জবাই করায় বাজারের পরিবেশ মারাত্মক দুষিত হচ্ছে। মাছবাজারসহ ৬/৭াট স্পটে সব সময় ময়লা আর্বজনার ভরাট থাকে। মিষ্টিপট্রি ও কাপর হাটায় ময়লা,আর্বজনার ভরাট থাকায় সরকারি ঘড়গুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরেছে।

একটি উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে